হযরত লুকমান আপন ছেলেকে উপদেশ প্রদান করেন, হে বৎস) মানুষের সহিত অনজ্ঞাসূচক ব্যবহার করিও না এবং জমিনেরউপর দম্ভভরে চলিও না। নিশ্চয়ই আল্লহ তায়া’লা দাম্ভিক ও অহংকারীকে পছন্দ করেন না। আর তুমি নিজ চলনে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করিও এবং (কথা বলিতে) নিম্নস্বরে বলিও অর্থাৎ শোরগোল করিও না। (উচ্চ আওয়াজে কথা বলা যদি কোন ভাল গুণ হইত তবে গাধার আওয়াজ ভাল হইত; অথচ) সমস্ত আওয়াজের মধ্যে সবচাইতে খারাপ আওয়াজ হইতেছে গাধার আও
য়াজ ( সুরা লুক্বমানঃ ১৮-১৯ )
আর তোমরা আপন রবের ক্ষমার দিকে দৌড়াও এবং ঐ জান্নাতের দিকে যাহার প্রশস্ততা আসমান-জমিনের প্রশস্ততার মত যাহা আল্লহ তায়া’লাকে ভয়কারীদের জন্য তৈয়ার করা হইয়াছে। (অর্থাৎ সেই উচ্চ স্তরের মুসলমানদের জন্য) যাহারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় নেক কাজের খরচ করিতে থাকে, গোস্বা নিয়ন্ত্রণকারী এবং মানুষকে ক্ষমাকারী। আর আল্লহ তায়া’লা এরূপ নেককারদিগকে পছন্দ করেন। ( সূরা আল-ইমরানঃ ১৩৩-১৩৪ )
হযরত আবু উমামাহ রদিয়াল্লহু আ’নহু (أبىْ أمامة رضى الله عنْه) বর্ণনা করেন যে, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, আমি ঐ ব্যক্তির জন্য জান্নাতের কিনারায় একটি ঘরের জিম্মাদারী লইতেছি, যে হকের উপর থাকিয়াও ঝগড়া ছাড়িয়া দেয়, ঐ ব্যক্তির জন্য জান্নাতের মধ্যখানে একটি ঘরের জিম্মাদারী লইতেছি, যে ঠাট্টা বিদ্রুপের মধ্যেও মিথ্যা কথা বলে না আর ঐ ব্যক্তির জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তরে একটি ঘরের জিম্মাদারী লইতেছি, যে নিজের চরিত্রকে ভাল বানাইয়া লয়। ( আবু দাউদ )
No comments:
Post a Comment