Translate

Sunday, March 23, 2014

নেককার স্ত্রীর সবচেয়ে কল্যাণকর কারণ স্বামী তাকে আদেশ করলে সে আনুগত্য করে

হযরত আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কোনো মুমিনের জন্য আল্লাহর তাকওয়া অর্জনের পর নেককার স্ত্রীর সবচেয়ে কল্যাণকর। কারণ স্বামী তাকে আদেশ করলে সে আনুগত্য করে, তার দিকে তাকালে সে (স্বামী) মুগ্ধ হয়। তাকে নিয়ে শপথ করলে সে তা (শপথকৃত কর্ম) পূরণ করে। স্বামীর অনুপস্থিতিতে নিজেকে (অন্যায়-অপকর্ম থেকে) এবং স্বামীর সম্পদ হেফাজত করে।

{সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ১৮৫৭}\






আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেন, আমি উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) কে দেখেছি যখন তিনি আমিরুল মুমিনীন ছিলেন আর তখন তাঁর জামায় উভয় স্কন্ধের মধ্যস্থলে পর পর তিনটি তালি লাগানো ছিল।

{মুয়াত্তা মালিক, অধ্যায়-৪৮ রেওয়ায়ত-১৯}




উম্মে খাল্লাদ (রাঃ) নামের এক মহিলা সাহাবী তার সদ্য শাহাদাতবরণকারী সন্তান সম্পর্কে জানার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর দরবারে এলেন। তার চেহারা নেকাবে ঢাকা ছিল। এক সাহাবী তাকে বললেন, তুমি তোমার শাহাদাতবরণকারী সন্তান সম্পর্কে জানতে এসেছ, (আর এমন শোকের মূহূর্তেও) তোমার চেহারা নেকাবে ঢাকা! তখন সাহাবিয়্যা উত্তরে বললেন, ‘‘আমি সন্তান হারিয়েছি, লজ্জা হারাইনি’’।


পুরুষ তার দৃষ্টি সংযত রাখার পরও যদি হঠাৎ নারীর প্রতি দৃষ্টি পড়ে যায় তাহলে যেন দৃষ্টি সরিয়ে নেয়, দ্বিতীয়বার দৃষ্টি না দেয়।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হযরত আলী (রাঃ) কে বলেছেন-

হে আলী! প্রথমবার যদি (অনিচ্ছাকৃত) দৃষ্টি পড়ে যায় তাহলে দ্বিতীয়বার দৃষ্টি দিও না। কেননা প্রথম দৃষ্টি (যা অনিচ্ছাকৃত হঠাৎ হয়ে গেছে) তোমাকে মাফ করা হবে, কিন্তু পুনরায় তাকালে তা মাফ করা হবে না।..


{সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২১৪৯; জামে তিরমিযী, হাদীস : ২৭৭৭}



আর যদি প্রথমেই ইচ্ছাকৃত তাকায় বা দ্বিতীয়বার তাকায় তা হবে দৃষ্টির খেয়ানত। আর এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা সতর্ক করে বলেছেন-

আল্লাহ তোমাদের দৃষ্টির অপব্যবহার এবং অন্তর যা গোপন রাখে তা (ভালোভাবে) জানেন।

{সূরা মুমিন : ১৯}