Wednesday, April 23, 2014

তাওবা-এর প্রকার



তাওবা-এর প্রকার
তাওবা দুপ্রকার
এক. তাওবাতুল ইনাবাহ্:  প্রকার তাওবা হলো তোমার উপর আল্লাহর ক্ষমতার কারণে তাকে ভয় করে তার কাছে ফিরে আসা
দুই: তাওবাতুল ইস্তিজাবা:  প্রকার তাওবা হলো আল্লাহ তোমার নিকটে আছে কারণেই আল্লাহর নিকট হতে লজ্জিত হয়ে ফিরে আসা
ইমাম গাযালী (রহ.) তাওবাকে চার প্রকারে বিভক্ত করেন:
এক. বান্দাহ তাওবা করবে এবং স্বীয় তাওবার উপরে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অবিচল থাকবে। অন্যায়, ত্রুটি-বিচ্যুতি যা হয়ে গেছে তার সাধ্যমত ক্ষতিপূরণ করবে এবং পরবর্তী সময় তার মনে মানুষের স্বভাবজাত চাহিদাগত সাধারণ ছোটখাট বিচ্যুতি ব্যতিরেকে কোনো গুনাহ সংঘটনের কল্পনাও উদিত হয় না। শ্রেণীর বান্দাহকে সাবিকুম বিল খায়রাতে নামে অভিহিত করা হয়। প্রকারের তাওবাকে বলা হয় আত-তাওবাতুন-নাসূহনির্ভেজাল-পরিচ্ছন্ন তাওবাএবং মন প্রবৃত্তির এই অবস্থার মান হলো আন নাফসুল মুতমাইন্না( النفس المطمئنة )
দুই. তাওবাকারী প্রধান মৌলিক ইবাদতসমূহ যথাযথ আদায় করতে থাকে এবং বড় ধরনের অশ্লীলতা হতে আত্মরক্ষা করে থাকে। কিন্তু তার অবস্থা এই যে, সে সকল গুনাহ থেকে সে নিজেকে রক্ষা করতে পারে না যা তার পরিবেশ সামাজিক অবস্থানের কারণে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় তাকে পেয়ে বসে।  সে নিজের প্রবৃত্তিকে তিরস্কার ভৎর্সনা করতে থাকে এবং অনুতপ্ত হয়। গুনাহর কার্য সম্পাদনের পর পর পুনঃ সংকল্প করে যে, সামাজিক পরিবেশগত যেই পরিস্থিতির কারণে তার দ্বারা গুনাহ সংঘটিত হলো তা হতে সে দূরে অবস্থান করবে এবং নিজেকে রক্ষা করে চলবে। এই প্রকৃতির প্রবৃত্তিকে আন-নাফসুল লাওয়ামা (النفس اللوامة) বলা হয়। তাওবাকারীগণ এই দলভুক্ত সাব্যস্ত হয়ে থাকেন
তিন. তাওবাকারী তাওবার পরে বেশ দীর্ঘদিন তার উপরে অবিচল থাকে। পরে কোনও পাপ তাকে বশীভুত করে ফেলে এবং সে তাতে লিপ্ত হয়
চার. পাপ সংঘটনকারী ব্যক্তি তাওবা করার পর পুনরায় বিভিন্ন পাপ কার্যে নিমগ্ন হয়ে পড়ে। এমনকি তার মনে তার তাওবার চিন্তা উদিত হয় না এবং তার মনে কোনো প্রকার আক্ষেপ, অনুতাপও জাগ্রত হয় না, বরং সে প্রবৃত্তির কু-চাহিদার গোলামে পরিণত হয়। ধরনের প্রবৃত্তিকে আনআন-নাফসুল আম্মারা বিস সূবলা হয়


No comments:

Post a Comment