Sunday, March 17, 2013

TRUTH












ছবিতে আপনারা যে গাছটি দেখতে পাচ্ছেন তা কোনো সাধারণ গাছ নয়। আজ থেকে প্রায় ১৪৫০ বছর আগের ঘটনা এটি। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর বয়স যখন ১২ বছর ছিল তখন এই গাছটি তাঁকে আল্লাহ তা’আলার ইশারায় নিরাপদ আশ্রয় দান করেছিল। আজও সেই গাছটি বেঁচে আছে। সুবাহানাল্লাহ। এই গাছটি "একমাত্র জীবিত সাহাবী গাছ" হিসাবে পরিচিত!! গাছটি জর্ডানের এক মরুভূমী এলাকায় অবস্থিত। আরেকটি অবাক করার মত ব্যপার হল গাছটির শত বর্গ কিলোমিটার এলাকায় এটি ছাড়া আর কোনো গাছ নেই।
এই গাছটির নিচে কখনো কেহ বসতে পারেনি! তখন গাছটিতে কোন পাতা ছিলনা! নবী করিম (সাঃ) ছেলেবেলায় ওঁনার চাচার সাথে জর্ডানে যান এবং পথ চলতে চলতে এই গাছটির নিচে বসেন। বসার সাথে সাথে গাছটিতে পাতা বাহির হয়। সুবাহানাল্লাহ।
দূরে জারজিস ওরফে বুহাইরা নামের একজন খৃষ্টান পণ্ডিত থাকতেন তিনি নবীজির চাচার কাছে এসে বললেন আমি এতদিন এখানে আছি কেহ এই গাছের নিচে বসতে পারেনি এবং এই গাছের কোন পাতা ছিল না।
খৃষ্টান পন্ডিত জিজ্ঞেস করলেনঃ- এই ছেলেটির নাম কি ? চাচা বললেন মোহাম্মদ! আবার জিজ্ঞস করলেনঃ- বাবার নাম কি ? আব্দুল্লাহ ! মাতার নাম ? আমিনা !
বালক মুহাম্মাদ (সা) কে দেখে, তার সাথে কথা বলে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন পাদ্রীর চিনতে আর বাকী রইলো না যে এই সে বহু প্রতিক্ষীত শেষ নবী, ইতিহাসের গতি পরিবর্তকারী, আরবসহ সমগ্র পৃথিবী থেকে পৌত্তলিকতার বিনাশকারী, একত্ববাদকে শক্ত ভিতের উপর প্রতিষ্ঠাকারী।
সাথে সাথে খৃষ্টান পন্ডিত বললেন আমি পড়েছি ইনি হলেন ইসলাম ধর্মের শেষ নবী।
আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুর'আনে বলেনঃ-
"তুমি কি লক্ষ কর না আল্লাহ কিভাবে উপমা দিয়ে থাকেন? সৎ বাক্যের তুলনা উৎকৃষ্ট বৃক্ষ যাহার মূল সুদৃড় ও যাহার শাখা-প্রশাখা ঊর্ধে বিস্তৃত। যে প্রত্যেক মৌসুমে তার ফল দান করে তাহার প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে এবং আল্লাহ মানুষের জন্য উপমা দিয়ে থাকেন যাহাতে তাহারা শিক্ষা গ্রহণ করে" [সূরা ইবরাহীমঃ ২৪-২৫]
 

Friday, March 15, 2013

কেয়ামতের একটি আলামত




[End of Times! Signs of Hours: কেয়ামতের একটি আলামত]
-------------- তারা যেন কাপড় পড়া অবস্থায় নগ্ন --------------

মহিলাদের দেখা যাবে পোশাক পরিধান করা অবস্থায় তারা যেন নগ্ন, কেয়ামতের একটি আলামত হল অসচ্চরিত্রের (মহিলার দেহ) দেখা যাবে এবং বোরকা ছাড়া। মহিলারা বাইরে যাবে টাইট কাপড় পড়ে এতে তাদের দেহের শ্যাপ বা আকার বুঝা যাবে এবং তারা এতই স্বচ্ছ কাপড়পরিধান করবে যে এতে তাদের ‘আউরা’ (দেহের অঙ্গ যা অবশ্যই গুপ্ত ঠাকতে হয়) দেখা যাবে যখন তারা বসবে ও হাঁটবে। ঐভাবে যদিও আপাতত ভাবে তারা পোশাক পরিধান করেছে কিন্তু বাস্তবে তারা নগ্ন কারন তাদের কাপড় টাইট হওয়ার জন্য।

আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত মুহাম্মাদ (সা:) বলছেন, জাহান্নামে দুই ধরণের মানুষ আছে যাদের আমি দেখিনি, চাবুক নিয়ে তাদের পেটানো হচ্ছে যেমন করে গবাদি পুশুর লেজ ধরে টানা হয়। এর কারন তারা লোকদের সাথে ঝগড়া করতো। আর সবচাইতে খারাপ মহিলা বা মেয়ে হল তারা যারা কাপড় পড়া অবস্থায় যেন নগ্ন এদের বলে ‘মুমেলা’, কারন তারা অন্যদের পথভ্রষ্ট করে অতএব তারা নিজেও দোষী এবং অন্যদের ও দোষী করে। মালিয়াত (আল্লাহ্‌র আনুগত্য থেকে পথভ্রস্ট এবং তার আদেশ মেনে চলে না) চলন ভঙ্গি তে সত্য থেকে বিমুখ হয় ও অন্যদের বিপদে ফেলে। তাদের মাথা দেখতে যেন ঠেসে যাওয়া উটের কুঁজ এর মত। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং এর সুগন্ধিও পাবে না। হয়তবা এটাই সুগন্ধি আমাদের জন্য যা কোন কিছু কে সনাক্ত করছে এবং কিছু দূরত্ব কে। [সহিহ মুসলিম]

কেয়ামতের আলামত আমাদের কাছে সুস্পষ্ট ভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে যা নবী মুহাম্মাদ (সা:) ১৪০০ আগেই ভবিষ্যৎ বানী করেছেন।